বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনা-নদী পায়রা বিধৌত বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন আমতলী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে বরগুনা জেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী আমতলী সরকারি কলেজটি অবস্থিত। সবুজে-শ্যামলে ঘেরা, অনুপম শোভা ও সৌন্দর্য মন্ডিত প্রায় ০৯ একর ভুমির উপর বিশাল ক্যাম্পাসটি অত্যন্ত মনোহর। যশোর শিক্ষা বোর্ডে অধীন এ কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে খুবই সুনামের সাথে শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় একাধিক বার সেরা ১০এ স্থান ২০১৩ সনে সৃজনশীল মেধা অম্বেষণ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জনসহ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত এ এলাকার গরীব জনগোষ্ঠীর মাঝে উচ্চ শিক্ষার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এ কলেজ থেকে পাশ করা অনেক কৃতি শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে উচ্চ পদে কর্মরত আছেন। এ কলেজে বর্তমান ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ২২৮৩ জন।
এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্বে তৎকালীন বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলা
সদরে অবস্থিত পটুয়াখালী কলেজ ব্যতীত আমতলী, বরগুনা, খেপুপাড়া ও গলাচিপা
থানায় উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন কলেজ ছিল না। উচ্চ শিক্ষার প্রসারের জন্য
বরগুনা জেলার প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী আমতলী সরকারি কলেজটি এ এলাকার বিশিষ্ট
সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক প্রাদেশিক
পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন তালুকদার আমতলী থানা সদরে একটি কলেজ
প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।